
কল্যাণপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান
Latest Update
সাহাদাত হোসেন
প্রকৃত জ্ঞান চর্চা, উপযুক্ত মেধার বিকাশ এবং সুযোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এজন্য আদর্শ এবং আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রয়োজন সুন্দর, নির্মল ও শান্তিময় পরিবেশ। তেমনি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কল্যাণপুর গার্লস হাই স্কুল ও কলেজ। মিরপুরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কল্যাণপুরের গৌরব, ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দিচ্ছে প্রগতিশীল ও আধুনিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি। অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল বরাবরই গৌরব দীপ্ত।
শাহনাজ বেগম
আমরা সবাই জানি, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর এই মেরুদন্ডকে সমুন্নত রাখার জন্য প্রয়োজন যথাযথ শিক্ষা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকের সমন্বয়ই তা সম্ভব। কেবল শিক্ষক অভিভাবকের ইচ্ছা থাকলেই চলে না, শিক্ষার্থীর আগ্রহ, শিক্ষকের প্রচেষ্টা, সর্বোপরি সার্বিক জ্ঞান-গর্ভ দায়-দায়িত্ব শিক্ষার্থীর মান বিকাশে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। আমি মনে করি, মানব সন্তান প্রাকৃতিক নিয়মে বেড়ে চললেই হবে না, তাকে একজন সুনাগরিক হয়ে রাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে। আর এই সুনাগরিক হয়ে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। আর শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখা ও কাঠামো গঠনের দায়-দায়িত্ব প্রথমে বহন করে বিদ্যালয়। এই রূপরেখা বাস্তবায়ন করা এবং শিক্ষকদের ধ্যান-ধারণা বাধাগ্রস্থ হয় যদি সম্মানিত অভিভাবকগণ অতিমাত্রায় তাদের সন্তান/পোষ্যদের প্রতি স্নেহ পরায়ণ হয়ে পড়েন। তখন দুর্বল/পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা কিংবা শাসন করা শিক্ষক/শিক্ষিকাদের পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়ে। এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, শিক্ষকের ঐকান্তিক পরিশ্রম, শিক্ষার্থীর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং তার পাঠে আগ্রহ সৃষ্টি করা যেমন প্রয়োজন তেমনি শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীর মূল্যায়নের প্রতি অভিভাবকের আস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। অভিভাবক যেমন তাঁর সন্তানের সার্বিক উন্নতি চান তেমনি শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষার মূল্যায়ন চান তার শিক্ষা, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উন্নতিতে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা এবং তাদের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সম্মানিত অভিভাবকগণকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এতে সুফল বয়ে আনে। সুশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি যা দরকার তা হলো নিজ নিজ ধর্মের প্রতি আনুগত্য ও সুচরিত্র গঠন। ধর্মীয় আলোকে একজন শিক্ষার্থী হতে পারে আদর্শবান ও চরিত্রবান নাগরিক। মাতা-পিতা, গুরুজন ও বয়ঃজেষ্ঠদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা একজন শিক্ষার্থীর পবিত্র দায়িত্ব। এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখার ক্ষেত্রে অভিভাবকের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী যেন তার প্রাথমিক জীবনকে সুদৃঢ করে গড়ে তুলতে পারে সেজন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি, শিক্ষক/শিক্ষিকা, প্রভাষক/প্রভাষিকা ও সচেতন সুশীল অভিভাবকগণের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
কল্যাণপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান
YOU CAN KNOW
Here you can review some statistics about our School
Satisfied Parents
Passing Rate
Student Enrolled
Certified Teachers